বিছানায় কাঁদছিল তিন মাসের কন্যাশিশুটি পাশে ফাঁসিতে ঝুলছিল মা

ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিলেন মা। পাশেই বিছানায় কাঁদছিল তিন মাসের কন্যাশিশুটি। কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এসে এ দৃশ্য দেখেন। গৃহবধূর স্বামীকে জানালে তিনি এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিতে চাইলে দেখেন মারা গেছেন। আজ রোববার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক নাহিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত উম্মে কুলসুম (২৬) বরমী ইউনিয়নের গিলাশ্বর গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। বরকুল গ্রামের নিজামুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা।

নিহতের স্বামী ফজলুল হক জানান, সকাল থেকে বাড়ির পাশের মাঠে কাজ করছিলেন। খবর পেয়ে ঘরে এসে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্ত্রীকে নামিয়ে হাসপাতালে নিতে চাইলে দেখতে পান তিনি মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, কুলসুমের প্রথম সংসারে আবুবক্কর নামের ছয় বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। আর তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন মাস বয়সী এক কন্যা মুসফিকা রয়েছে।

বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ঘরে শিশুর চিৎকার শুনতে পান পাশের ঘরের বাসিন্দা। ঘরে গিয়ে দেখতে পান কুলসুম ফাঁসিতে ঝুলে আছেন। খবর দিলে তাঁর স্বামী এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামান। হাসপাতালে নিতে চাইলে দেখতে পান কুলসুম মারা গেছে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক নাহিদ হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।