পুনঃনির্বাচনের দাবি তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রাণালয়ের
দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এর নির্বাচন
অনিয়ম, দুর্নীতি ও পক্ষপাতের অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠতব্য দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন-২০২৫ এ সহ-সভাপতি পদসহ নির্বাচনী ফলাফল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়। একই সঙ্গে ঐ নির্বাচনের ফলাফল তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা আগামী ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রাণালয়।
২৯ মার্চ (শনিবার) বিকেলে তদন্ত কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সমবায় একাডেমি কোর্টবাড়ী কুমিল্লার যুগ্মনিবন্ধক মো. জিয়াউল হক দেশ বর্তমানকে বলেন, এ ব্যাপারে শুনেছি। এখনো কাগজপত্র হাতে পায়নি। কাগজপত্র হাতে আসলে ঈদের পর তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব। এবং কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী (সদস্য নং-৫২১৯) গত ৩ মার্ সহসভাপতি পদে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি পক্ষপাতমূলকের অভিযোগ এনে নির্বাচনী ফলাফল বাতিলে এবং পুনঃনির্বাচনের দাবিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের সচিব বরাবর। পাশাপাশি পুরো ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের ফলাফলও তদন্তের দাবি জানান তিনি।
মন্ত্রাণালয়ের সহকারী সচিব গোলাম রাজ্জাক স্বাক্ষরিত তদন্তের নির্দেশনা বলা হয়েছে, জনাব গোলাম কাদের চৌধুরী, সদস্য নং-৫২১২, দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড ২৬/০২/২০২৫ এবং ০৩/০৩/২০২৫ তারিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে (স্মারক নম্বর: ৪৭,০০,০০০০.০৩২,১৮,১১,২৫,১৩৭) সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল পূর্বক উক্ত পদে পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন/২০২৫ এ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও পক্ষপাতমুলক হওয়ায় তা তদন্ত পূর্বক বাতিলের ব্যবস্থাসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রণের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আগামী ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্ত নিম্নবর্ণিত কর্মকতাকে নির্দেশক্রমে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলো ।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে দি চিটাগাং কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৩৬ ভোট পেয়ে ওয়াহিদ মালেক সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোরশেদ আহমেদ মঞ্জু পান ৫২২ ভোট। সহ-সভাপতি পদে সৈয়দা দিলরুবা আহমেদ ৫৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম কাদের চৌধুরী পান ৫৬৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯১ ভোট পেয়ে মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলে রাব্বী খান পান ৪১৪ ভোট এবং কাজী বেলাল উদ্দিন পান ২৫৯ ভোট। ৫৫৪ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন ডা. তৈয়ব সিকদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী পান ৪৭৩ ভোট। আটটি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে আবুল কালাম আজাদ (৬৪৯ ভোট), জাহাঙ্গীর কবির (৫২৯), আজাদ মঈনুদ্দীন (৫১৩), তাজুল ইসলাম (৪৯২), নজরুল ইসলাম (৪৭১), মঈন উদ্দীন খান চৌধুরী (৪৪৫), এসএম জমির উদ্দীন (৪৩১) এবং ইফতেখারুল হক চৌধুরী (৪৩১)।