শরীরের সুস্থ রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন , একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত । ঘুমের পরিমাণ এর চেয়ে কম হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির সংক্রমণ ঘটে।
ঘুম আমাদের কোষ এবং পেশী পুনর্নির্মিত হয়। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। ফলে যেকোনো কাজ সজাগ ও মনোযোগী হয়ে করা যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মেদ কমাতে সাহায্য করে ।
ঘুমের পরিমাণ ৭ ঘণ্টার কম হলে শরীর ঘুমের চক্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তি বোধ হয়। যাতে করে কাজে মনোযোগ অনেকটাই কমে যায়। ফলে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও কমে আসে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
ঘুম কম হতে পারে ওজন বৃদ্ধির কারণও। কারণ ঘেরলিন ও লেপটিন নামক দুটি হরমোনের ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে । তখন শরীরে ঘেরলিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মানুষকে ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। তখন উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়। বিশেষ করে বেশি রাত জেগে থাকলে এই সমস্যা বেশি হয়। এর ফলে বাড়তে থাকে ওজনও।
ঘুম কম হলে শরীর নিজেকে সারানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। এ কারণে শরীরের দূষিত পদার্থ পরিষ্কা হয় না এবং বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। তাই বুঝতেই পারছেন, প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম কতটা জরুরি!
আমাদের মানসিক অবস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে ঘুমের স্বল্পতা। কারণ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক নতুন করে শক্তি সংগ্রহ করে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মন সতেজ হতে পারে না। এর ফলে দেখা দেয় অবসাদ। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও।