দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারা সদরদপ্তরে চিঠি

আদালতে হাজিরা

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ।  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোর্টে হাজিরার সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরইমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলো।  ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো।  এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

এদিকে, দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর ঢাকার আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদারে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  আদালতের হাজতখানায় যুক্ত হয়েছে ৬০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট।  বড় সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি আসামি আনা–নেওয়ার সময় এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরবেন।

পুলিশ সূত্র বলছে, তাদের ৩০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ৩০টি হেলমেট দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর থেকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আরও অনেক বেশি সতর্ক।’

এছাড়া আসামি আনা–নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আদালত চত্বরে ভ্রাম্যমাণ কোনো দোকানপাট বসতে দেওয়া হয়নি।  আগে আদালতে ঢোকার প্রবেশপথের ফটক পুরোপুরি খোলা থাকত।  তবে গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) থেকে পকেট দিয়ে জনগণ ঢুকছেন।  এমনকি কোনো ধরনের যানবাহনও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।