চমেকে দালাল নির্মূলে দায়িত্বশীলদের প্রতি নওফেলের আহবান

চমেকে দালাল নির্মূলে দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানিয়ে চট্টগ্রাম ৯ আসনের নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, দালালরা মূলত হাসপাতালে ঢুকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে, তবে হাসপাতালে ঢুকে মূল কাজ করে বাহিরের প্রাইভেট হাসপাতালের দালাল হিসেবে। যাদের ভেতরে-বাহিরে একটা সিন্ডিকেট আছে। মানুষের চক্ষু লজ্জা উঠে গেছে, নীতি নৈতিকতার জায়গায় অনেকেই আপস করছি। আমি অনুরোধ করবো সরকারি প্রতিষ্ঠানের এসব জায়গাগুলোতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন সবাই যদি নীতি নৈতিকতার জায়গায় জনস্বার্থে কাজ করি তাহলেই দালাল কমবে। কিন্তু সবাই যদি পকেট ভারি করার চেষ্টা করি তাহলে জনগনের দুর্ভোগ কমবে না।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে চমেকের দালাল দৌরাত্ম্য বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দালাল চক্রকে থামাতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনেককে ধাওয়াও করেছে। কিন্তু আবারও দালালরা কোন ফাঁকফোঁকরে ঢুকে যায়। এই চ্যালেঞ্জের একটাই সমাধান, সেটা হলো নিচের স্তরের যেসব কর্মী রয়েছে তাদের বরাদ্দটা যদি যথাযথভাবে পেয়ে যায় তাহলেই দালাল নিরসন করা সম্ভব হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে আসা রোগীদের অভিযোগ, চমেকে দালালরা প্রতিনিয়ত রোগী ও স্বজনদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ভাগিয়ে নেওয়া এবং অর্থের বিনিময়ে দ্রুত সেবা মিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের এমন পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছেন একাধিক রোগী ও স্বজনরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রে পুরুষ ও নারী সদস্য মিলেই মূলত একটি সিন্ডিকেট। নারী সদস্যরা খুব সহজেই হাতে নিতে পারেন রোগীদের। তবে এসব নারী সদস্যদের উৎপাত সবচেয়ে বেশি হাসপাতালের ভেতরে। এসব দালাল চক্রের সদস্যরা হাসপাতাল অনুযায়ী বেঁধে দেয় মূল্য ছাড়ের পরিমাণ। অতঃপর নেওয়া হয় সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে। ফলে সিণ্ডিকেটের কাছেই জিম্মি হাসপাতালে আসা সকল রোগী। এমনকি তাদেরকে টাকা দিলেই সহজেই মিলিয়ে দেন চিকিৎসা সেবা। এসব চক্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যাদের সহযোগিতায় চালানো হচ্ছে দালালী কার্যক্রম।