চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ব্যাপক অনিয়ম ও অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের কোন প্রতিনিধি এখনো নেই। একটা স্বায়িত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবশ্যই শিক্ষকদের প্রতিনিধি থাকার কথা। আমরা দেখেছি ১৯৭৩ এর আইন লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করে আসছি।
তিনি আরোও বলেন, উপাচার্য আমাদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দেন কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়ন করেন না। উপাচার্য আমাদের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, পূর্বে আমরা বারবার আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। কিন্তু মৌখিক ভাবে মেনে নিলেও দেখা যায় পরবর্তীতে দ্বিগুণ শক্তিতে অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম গুলো তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভিসি-প্রভিসির বিকল্প আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসি-প্রভিসি নির্ধারণ করা আমাদের শিক্ষক সমিতির কাজ নয়। এটি সব দিক বিবেচনা করেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ পদের জন্য পছন্দের কোন প্রার্থী নেই। এবং সেটা নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না। আমাদের চাওয়া যিনিই উপাচার্য হোক না কেন যেনো আইনের শাসন টাকে ধরে রাখেন।