প্রতিনিয়ত আমরা কারো না কারো মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকি। তারপর তাকে ধন্যবাদ , কৃতজ্ঞতা জানাই। যার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছি তার জন্য দোয়া করি।
উপকার বড় হোক আর ছোট হোক; উপকারকারীর জন্য দোয়া করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে গেছেন। হাদিসে এসেছে-
উচ্চারণ : ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’
অর্থ : আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
হযরত ঊমর (রাযি.) বলেন, তোমাদের কারো যদি জানা থাকত যে, তার অপর ভাইকে “জাযাকাল্লাহু খাইরান” বলার মধ্যে তার জন্য কি রয়েছে! তাহলে তোমরা একে অপরের জন্য তা বেশি করে বলতে।
জাযাকাল্লাহ অর্থ আল্লাহ আপনাকে প্রতিদান দিন। আর খাইরান শব্দের অর্থ উত্তম। আমরা কখনো শুধুমাত্র ‘জাযাকাল্লাহু’ বলবো না। বরং ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো। কারণ ‘জাযাকাল্লাহু’ দ্বারা প্রতিদান ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। তাই ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবো।
ﺧﻴﺮ ( খাইর) শব্দটি সে সমস্ত বিষয় বুঝায় যা আল্লাহর নিকট প্রিয়। তাই “খাইর” শব্দের মাধ্যমে আপনার জন্য সবরকমের কল্যাণ কামনা করা হল।
উত্তম প্রতিদানের ক্ষেত্রে “জাযাকাল্লাহু খাইরান” বলতে অনেক অর্থ বুঝায়। যেমন আল্লাহ আপনাকে জান্নাত এবং জান্নাতে তাঁর দিদার দ্বারা সৌভাগ্যবান করুন, আল্লাহ যেন আপনার রিজিকের মধ্যে বরকত দান করেন, আল্লাহ আপনাকে কাফিরদের স্থান জাহান্নাম থেকে হেফাজত করুন, আল্লাহ যেন আপনাকে সিরাতে মুস্তাক্বিম তথা সরল পথে পরিচালিত করেন, শেষ দিবস পর্যন্ত আল্লাহ যেন আপনাকে মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী করেন, আল্লাহ যেন আপনাকে রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী করেন, আল্লাহ আপনাকে নেক সন্তান দান করুন, আল্লাহ যেন আপনার উপর কোন অভিশপ্ত শয়তানকে চাপিয়ে না দেন, আল্লাহ আপনাকে সবরকম কল্যাণ দান করুন ইত্যাদি কল্যানময় দোয়া।
আপনাকে যিনি ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলবেন; তাঁর উদ্দেশ্যে আপনি বলবেন- ‘ওয়া ইয়্যাকা বা ওয়া ইয়্যাকুম’ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপকারীর উপকারে সুন্নাতি এ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।