আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে যোগদান শেষে প্রথম অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী সকাল ১০টায় প্রথমে মন্ত্রণালয়ে যোগদান শেষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন, সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কে অবহিত হবেন। এর পর দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি নতুন সরকারের একজন টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এদিকে নতুন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেনের ইন্দিরা রোডস্থ বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএমএ ও স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল রাতে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা বিভাগের দুই সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আঞ্জুমান আরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি ডা. সামন্ত লাল সেনকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সিলেটের হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেন্ট ফিলিপস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন ও সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি।