দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবের ঈদ উল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর উপজেলাতে কামার পল্লীগুলোতে পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। ফলে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামার পল্লীগুলোতে এখন লোহা-হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে। কামার শিল্পের কারিগরদের নিখুত হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, চাকু, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব পশু কাটার যন্ত্রপাতি। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পাঁচ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পল্লীর কারিগররা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় কামারদের কর্মব্যস্ততা। ঈদকে ঘিরে আশার আলো দেখছেন কামাররা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের চাপাতি, ছুরি, বটি ও চাকু তৈরিতে তারা। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা।
প্রয়োজনীয় অভাব আর আর্থিক সংকটসহ নানান কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামও পরিমান একটু বেড়েছে বলে জানান কামারীরা।
পশু কোরবানির দা, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন কামারশালায়,আবার কেউবা পুরনো দা- ছুরি চাপাতি মেরামত করতে আসছেন।
কামারীরা জানান, নতুন লোহা দিয়ে দা-ছুরি, চাপাতি তৈরি করলে কেজিতে আটশো টাকা করে আর পুরাতন দা-ছুরি শান দিলে দা- ১২০ টাকা, ছুরি ৮০ টাকা, চাপাতি ৯০ টাকা দামে নিচ্ছি।
এদিকে দাম আগের তুলানায় বেশি হলেও বাধ্য হয়ে পশু কোরবানির সরঞ্জাম কিনছেন ক্রেতারা,কয়লা আর কাচামালের দাম সহনীয় রেখে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটা প্রত্যশা করেন কামাররা।