এমপি নজিবুল বশরের দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ এপ্রিল

৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা

অর্থ আত্মসাতের মামলায় এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।  সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ঋণের ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ায় গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমিশন থেকে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়।  তদন্ত প্রতিবেদনে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলে ও প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ অন্যরা মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।

মামলায় আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম-২ আসনের এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী। নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ১৪ দলের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান।

অন্য আসামিরা হলেন, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম খালেদ, তার ছেলে কে এম রাকিব হোসেন এবং স্বজন খন্দকার মো. মোস্তাহিদ, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেড এম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান এবং সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হক।