উপ-নির্বাচনে মাহমুদকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান নাছিরের

উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে  গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম থিয়েটার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান। মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নাছির বলেন, ‘২৫শে মার্চ রাত ১১ টা ২০ মিনিটে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর পরই রাত সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন এবং যার যা কিছু আছে দিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালিকে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

৭১ এর ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বঙ্গবন্ধু আত্মগোপন করতে পারতেন এমনকি প্রতিবেশী দেশে চলেও যেতে পারতেন।  কিন্তু বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন তিনি যদি আত্মগোপন করেন তাহলে শাসকগোষ্ঠী তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করবে।  এর ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সুহানুভূতি কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হত। বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করেছেন, ৭০ এর নির্বাচনে বাঙালির ভোটাধিকারে তিনি একক নেতা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

এসময় তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতা নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন প্রদান করায় দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘৭১ এর ২৫ শে মার্চ পাকিস্তান বাহিনী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নজিরবিহীন গণহত্যার মাধ্যমে শুধু ঢাকা শহরে ১ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করে বিশ্বে সবচাইতে ঘৃণিত অপকর্মটি করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একই দিনে এত বড় গণহত্যা আর কখনো ঘটেনি। আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের কাছে এই দিনটিকে বৈশ্বিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আজ সময়ের দাবি।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, উপ প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য গোলাম মো. চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইদ্রিস কাজেমী, এড. আইয়ুব খান, জাফরুল হায়দার সবুজ, ফারুক আহমদ, মো. রিজুয়ান, আশীষ ভট্টাচার্য্য, সাইফুল আলম বাবু, লুৎফুল হক খুশী।

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, ধর্ম সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, কার্যনির্বাহী সদস্য এড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ সহ ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড, ১৫টি থানা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।