ইপসা (Building Agency of Youth in Climate Action) ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু সচেতনতায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০০ যুব’কে ‘নেতৃত্ব বিকাশ ও জলবায়ু সচেতনতা ‘ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ কর্মসূচি শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম নগরীর ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে’ বুধ ও বৃহস্পতিবার (১০ ও ১১ জানুয়ারি) দুইদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাইকৃত ২৫ জন যুব সদস্য এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। জলবায়ু বিষয়ক এই প্রশিক্ষণে বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরির্বতনের প্রভাব ও এর প্রতিকার সর্ম্পকে প্রশিক্ষর্ণাথীদের ধারণা এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রশিক্ষর্ণাথীদের তিনটি দলে ভাগ করে জলবায়ু পরির্বতন মোকাবেলা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিজ এলাকায় বাস্তবায়নের উদ্যেশ্যে আলাদা আলাদা তিনটি সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্প গুলো হলো- জলবায়ু বিষয়ক ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি, শিক্ষকদের জন্য জলবায়ু প্রশিক্ষণ ও পরিবেশ বান্ধব চা দোকান।
প্রশিক্ষণার্থী জেসমিন আয়াত দৈনিক দেশ বর্তমানকে বলেন, এমন একটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। জলবায়ু বিষয়ক এমন প্রশিক্ষণ মানুষকে সচেতন করে তোলে। আমি চাইবে এমন প্রশিক্ষণ আরও বৃহৎ আকারে করা হোক। এতে সাধারণ মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে এবং জলবায়ু সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে।
প্রশিক্ষণার্থী ফারজানা আক্তার দৈনিক দেশ বর্তমানকে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন আজকের বিশ্বে একটি বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কিছু আমরা শিখতে ও জানতে পেরেছি। একজন লিডার হিসেবে নিজের আশপাশের একজন মানুষকেও যদি আমি গাইড করতে পারি এবং গাইডের মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে পারি তাহলে আমি বলবো আমার এই প্রশিক্ষণ এ সফল। আমি ইপসার কাছে কৃতজ্ঞ এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য।
সুমন বৈদ্য নামের আরেক প্রশিক্ষর্ণাথী দৈনিক দেশ বর্তমানকে বলেন, আমাদের সবার জীবনে লিডারশিপ স্কিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিডারশিপ স্কিল চর্চা না থাকা। যার ফলে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক বাধার সম্মুখীন হই। যেমন: দূরদর্শী চিন্তা করতে না পারা, সঠিক ভাবে কাজ পরিচালনা করতে না পারা ইত্যাদির উপর আমাদের ঘাটতি থেকে যায়। একজন লিডার হতে হলে কি কি গুণাবলী থাকতে হবে দুইদিন ব্যাপি ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইপসা কর্তৃক আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ থেকে আমরা জানতে পেরেছি।
ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার সেতার রুদ্র দৈনিক দেশ বর্তমানকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ইপসা মনে করে আমাদের তরুণ সমাজই পারে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের পথে হাটতে। তাই তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জলবায়ু সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার সেতার রুদ্র ছাড়াও প্রশিক্ষণে আরো উপস্থিত ছিলেন ইপসা প্রতিনিধি ইয়াসমিন আক্তার, মিনহাজুর রহমান শিহাব, শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সোহেল হোসেন মুুন্না।