অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর

অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে।  বুধবার (৯ নভেম্বর) নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে অংশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য সরোয়ার জামাল নিজাম, মুজিবুর রহমান সিআইপি, এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান জানাজায় অংশ নেন।

এছাড়া বিএনপি, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।  পরে বিএনপি, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে এ বিএনপি নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জানাজা শেষে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালী জলদী হাইস্কুল মাঠে।  সেখানে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় জানাজা এবং বিকেল ৩টায় বাঁশখালী গুনাগরি ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা হবে। জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।  তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে দুই মেয়ে ও অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।