৪ মামলায় আসামি শাহাদাত-বক্করসহ ৬০০

চট্টগ্রামে পুুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানায় চারটি মামলা হয়েছে।  গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে দায়ের হওয়া এসব মামলার এজাহারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  এছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে।  এরমধ্যে কোতোয়ালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে তিনটি, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে একটি মামলা।

মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতেই ডা. শাহাদাত হোসেনসহ মহানগর বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।  তবে তারা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।  তবে আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওসি জাহিদুল কবীর।

গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।  পুলিশের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ২০ সদস্য আহত হয়েছেন।  বিএনপির দাবি, তাদের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।  সংঘর্ষকালে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।  এ সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে।  এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপির ১৬ জনকে আটক করে।  তাদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  সুত্র জানিয়েছে, আটক ১৬ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় কর্মসূচি ছিল সোমবার।  কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।