খোলাবাজারে চিনির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে, দাম বেড়েছে প্যাকেটজাত চিনিরও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তাই দাম বাড়ছে চিনির। তবে দেশে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিনি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে জাতীয় স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ ছাড়া খুব শিগগিরই আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। একটু তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে ১৭ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরও এক লাখ টন। যা খুব শিগগিরই দেশে আসবে। সব মিলিয়ে দেশে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি। পাইকারি বাজারে কোথাও কোথাও চিনির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তারা বলছে, পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।