পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সৌদি আরবে ৩০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। তারা দুই দেশেরই অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। আমরা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর অংশীদার হতে আগ্রহী।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে ৯৪তম সৌদি জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সৌদি আরবের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান।
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন ও অংশীদারত্ব তৈরি হয়। তারপর থেকেই দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে।
বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান বলেন, সৌদির যুবরাজ সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব এগিয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব দুইটি ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। দুই দেশের মধ্যে গভীর পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে ৩.২ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা দুই দেশেই অবদান রাখছেন। বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আমরা গত বছর ১ মিলিয়নেরও বেশি ভিসা ইস্যু করেছি। এছাড়া, এ বছর ৮৫ হাজার বাংলাদেশি হজ করেছেন। আমরা আগামীতে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের জাতীয় দিবস। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবেও দিনটি পরিচিত।
১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আব্দুর রহমান আল সৌদ এক যুদ্ধের মাধ্যমে তার পৈত্রিক শহর রিয়াদ দখল করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর সংগ্রামের পর ১৯৩২ সালের ২১মে এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে আরবের বিভিন্ন অংশের একত্রীকরণের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আধুনিক সৌদি আরব গঠিত হয়। সেই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।