সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা-কাদের-শামীম ওসমানসহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নামের কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হবার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৫) কে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আরও ৫০-১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের পিতা মোহাব উদ্দিন ওরফে মো: ছোয়াব মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিষয়টি রবিবার রাতে দেশ বর্তমানকে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।

মামলার এজাহারের অন্যান্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৩), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ একেএম শামীম ওসমান (৬৪), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ:লীগের যুগ্ম সম্পাদক  শাহ নিজাম (৫৬), শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমান (৩৭), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও শামীম ওসমানের শ্যালক টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান (৭৮), সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া (৬২), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি (৫৫), সাবেক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব  আনোয়ার ইসলাম, ৮ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আকতার ওরফে  পানি আক্তার (৩৮), ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস, শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ কবির হোসেন (৪৩), যুবলীগ নেতা তানজিম কবির সজু (৪১)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২১ জুলাই বিকেল ৩টার পর প্রধান আসামি শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিস সংলগ্নের সাহেবপাড়া এলাকার পাকা রাস্তার গলিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তখন শামীম ওসমানের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মোনায়েল আহমেদ ইমরানকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে তার বুকের মাঝখানে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ ইমরানকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন।