সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট নজরদারি করা হয়: প্রধানমন্ত্রী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের পোস্টসমূজ নজরদারি করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২ নভেম্বর) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটা জানান তিনি।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছেন। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, উষ্কানিমূলক ও সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

এসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন পোস্টসমূহ নজরদারি করা হয় বলে জানান সরকার প্রধান।

এসময় দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বিএনপির রুমিন ফারহানার এমন সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কিছু লোক থাকে। এবং সেইসব লোকের কথাই মাননীয় সদস্য বলেছেন। যে পত্রিকাগুলোর নাম তিনি নিয়েছেন তার মধ্যে একটা পত্রিকা কিন্তু আমি কখনো পড়ি না। পড়ি না এই কারণে তারা সবসময় উল্টো দিকে থাকে। এরা কখনো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক তা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা পছন্দ করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সারাবিশ্বে যেভাবে পণ্যমূল্য বেড়েছে সেটা যদি দেখেন, সে তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। বাংলাদেশে দাম বেড়েছে আমি তা অস্বীকার করছি না। আর দাম বেড়েছে বলেই তো আমরা ভর্তুকি দিয়ে স্বল্পমূল্যে যারা ক্রয় করার সক্ষমতা রাখে না তাদের দিচ্ছি ‘

সিপিডির নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কিছুই ভাল লাগে না তাদের। তাদের ভাল লাগে কখন, যখন সেনা শাসন ছিল যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল তাদের একটু কদর বাড়ত। এই আশায় তারা বসে থাকে, এটাই বাস্তবতা।