নিজস্ব প্রতিবেদন :::
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ সম্মেলনের বর্ষপূর্তি আগামী ৩০ মে। প্রায় একযুগ পর হওয়া সম্মেলেনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ। এরই মৃধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলেও ঝুঁলে আছে নগর যুবলীগের কমিটি। কি সংকট বা সংশয়ের কারণে নগর যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করতে পারছেন না এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তবে নগর যুবলীগের আংশিক কমিটি গঠন প্রায় শেষ পর্যায়ে, যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান কেন্দ্রের এক শীর্ষ নেতা।
এ দিকে নানারকম আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে রয়েছে বলে মত নেতাকর্মীদের। যদিও বিচ্ছিন্নভাবে নেতা কর্মীরা জাতীয় দিবসগুলো পালন করছে এবং স্ব-স্ব শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে অনেকের সুপরিশ বা পরামর্শ থাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা শেষ মুহূর্তে এসে কিছুটা চাপে পড়েছেন। কমিটির অন্যান্য পদের চেয়ে শীর্ষ দুই পদ নিয়ে বেশি চাপে আছেন তারা। তবে নগর যুবলীগের আংশিক কমিটি গঠন প্রায় শেষ হয়েছে, শীঘ্রই নতুন কমিটি ঘোষণা আসতে পারে।
এ সময় আরও জানা যায়, যোগ্য নেতাকর্মীদের নিয়েই নতুন নগর যুবলীগ কমিটি হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান খান নিখিনসহ শীর্ষ নেতারা কমিটি নিয়ে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাকর্মী, সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর বেশ কিছু নেতাকর্মীর বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় নেতারাও নড়েচড়ে বসেছেন। তাই সকল প্রকার বিভ্রান্তি ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে নগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তাই শেষ মুহূর্তে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কার হাতে উঠবে নগর যুবলীগের দায়িত্ব বা নেতৃত্ব। এ নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানুর জেষ্ঠ্য পুত্র নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য কাজী রাজেশ ইমরানের নাম।
এছাড়াও চট্টগ্রামে শীর্ষ মহলের সুপারিশে নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- নগর যুবলীগ কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য নুরুল আনোয়ার, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য দিদারুল আলম দিদার, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য আসিফ মাহমুদ এবং নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
এই দৌড়ে আরও যারা রয়েছেন- নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সুরজিৎ বড়ুয়া লাবু, সনৎ বড়ুয়া, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, সুমন দেবনাথ, এ এম শহীদুল কাওসার, শেখ নাছের আহমদ, জাবেদুল আলম সুমন, আশিকুর নবী, নুরুল আজিম রণি, ইঞ্জিনিয়ার আবু মো. মহিউদ্দিন, এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন প্রমুখ।
তবে কার হাতে নগর যুবলীগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিদিন নগর রাজনীতিতে চলছে নানান আলোচনা। নেতা কর্মীদের মনে নিরব উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা। যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে নগর যুবলীগের কমিটি। আর এমন সংবাদে কেন্দ্রে শেষ সময়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরের যুবলীগের পদপ্রত্যাশীরা।