নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (এনসিএস) বরাতে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২টা ১২ মিনিটে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪৩০ কিমি পশ্চিমে ডোটি জেলায় আঘাত হানে প্রবল ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল খাপতাড ন্যাশনাল পার্কে।
এর প্রভাবে ডোটিতে বেশকিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন।
পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি ছেলে, ১৩ বছরের একটি মেয়ে, ১৪ বছর বয়সী দুটি মেয়ে, একজন ৪০ বছর বয়সী নারী ও একজন ৫০ বছর বয়সী পুরুষ রয়েছেন। তারা পুরিচৌকি পল্লী পৌরসভার গাইরা গাঁয়ের বাসিন্দা। আহত পাঁচজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করছে। নেপালি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল জানিয়েছেন, অন্ততঃ দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ আশপাশের এলাকায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের সামনে খুবই অরক্ষিত স্থলবেষ্টিত পাহাড়ি দেশ নেপাল। জানা গেছে, মঙ্গলবার এক দিনে মোট তিনবার কেঁপে উঠেছে নেপাল। সকালে যখন প্রথম ভূমিকম্প হয়, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫। কম্পনের উৎসস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, মাটি থেকে ১০০ কিলোমিটার গভীরে। এরপরে রাত ৯টা নাগাদ ফের কেঁপে ওঠে নেপাল। তখন তার মাত্রা ছিল ৪.৯। সেটির উৎসস্থল ছিল নেপাল সীমানার কাছে, ১০ কিলোমিটার গভীরে। পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কেঁপে উঠল নেপাল।
দেশটিতে ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রবল এক ভূমিকম্পে প্রায় নয় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।