অবশেষে থামল বাংলাদেশের ইনিংস। সাদমানের পর মিরাজের শতকের উপর ভর করে ৪৪৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করা বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ছিলেন মাত্র ১৬ রানে। তার সঙ্গী ছিলেন ৫ রান করা তাইজুল ইসলাম।
রোববার (৩০ এপ্রিল) তৃতীয় দিন এই দুজনই বাংলাদেশের সকালটা সুন্দর করার দায়িত্ব নেন। তাদের জুটি হয় ৬৩ রানের।
২০ রান করে তাইজুল ফিরলেও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৪৩৮ রানে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে তানজিম আত্মহুতি দিলে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকা ৯৮ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজের শতক পড়ে যায় শঙ্কায়।
যদিও নতুন ব্যাটার হাসান মাহমুদ ঠিকঠাক পরের বলগুলো ঠেকিয়ে দিলে মিরাজ পেয়ে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক। এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২১ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতকের দেখা পেয়েছিলেন মিরাজ।
মিরাজ ও তানজিম সাকিবের জুটিতে দলের স্কোর পেরিয়ে যায় ৪০০। দলের লিডও বড় হতে থাকে। ১১ চার ও ১ ছয়ে আউট হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার বিদায়েই ৪৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ আর লিড দাঁড়ায় ২১৭ রানে।
মাসেকেসার বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন মিরাজ। তার উইকেট নিয়ে অভিষেকেই ৫ উইকেট শিকার জিম্বাবুয়ের লেগস্পিনার মাসেকেসার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুজারাবানি, মাসাকাদজা, মাধেভেরে ও বেনেট।