মিতু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৩ মার্চ

সাবেক এসপি বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন পিছিয়েছে।  আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠনের জন্য পুনরায় সময় নির্ধারণ করেছেন।  সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য মামলার নথি উপস্থাপন করা হয়েছিল বলে জানান মহানগর পিপি আব্দুর রশীদ।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গঠনের বিষয়ে নারাজি আবেদন করব বলে আদালতকে অবহিত করে সময়ের আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আরজি মঞ্জুর করে ১৩ মার্চ সময় নির্ধারণ করেছেন।  ওইদিন আমরা নারাজি আবেদন দাখিল করব। নারাজি আবেদন এবং অভিযোগ গঠনের শুনানি একইদিনে হবে।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।  ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।  ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।  এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।  ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই।

সেই থেকে কারাগারে রয়েছে তিনি। তবে আইনি জটিলতায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আগের বাবুল আকতারের করা মামলাতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।

অভিযোগপত্রে মামলার বাদী বাবুল আকতারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। গত ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন মহানগর হাকিম আদালত। একই সঙ্গে মামলার পলাতক আসামি মুসা ও কালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর হাকিম আদালত।