সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সোনালী ব্যাংকের গোবিন্দাসী শাখার অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। পরে কার্যালয়ের সামনে তারা সমাবেশ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার। এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) গোবিন্দাসী এলাকায় মাইকিং করে গ্রাহকদের একসাথে হওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারের গরুর ফার্মে আসার আহ্বান জানানো হয়। এলাকায় মাইকিং-এর ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা চাওয়ায় গোবিন্দাসী শাখার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ব্যাংকের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাত করেছেন। এখনও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না তারা। ওই ম্যানেজারও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দেয়াসহ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখা ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ জানান, এলাকায় মাইকিং ঘটনায় ব্যাংক অনিরাপদ হওয়ায় নিরাপত্তা চাওয়া হয় পুলিশের কাছে। গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গ্রাহকদের একসাথে হওয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল। টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা হতাশ। সকল গ্রাহক গিয়ে ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।