মাইজভাণ্ডার নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন, সাময়িক বরখাস্ত বাওয়া স্কুলের সেই ধর্ম শিক্ষক

বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের (বাওয়া) নবম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় মাইজভান্ডার দরবার শরীফ নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করায় ওই স্কুলের ধর্ম শিক্ষক আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আরিফ উল হাসান চৌধুরী বরখাস্তের বিষয়টি জানান। বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষকের বাড়ি ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে।

জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নবম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ধর্মীয় বিষয়ের (ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা) প্রশ্নপত্র তৈরি করেন শিক্ষক আবদুর রহিম। ওই প্রশ্নের এক নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়- ‘সানজিদা তামান্না নিঃসন্তান দম্পতি। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে গিয়ে বাবার কাছে সন্তান লাভের আশায় কান্নাকাটি করবেন। একদিন তারা বাবার দরবারে গেলেন, সেখানে তারা সিজদারত অবস্থায় বাবাকে স্মরণ করে দুআ করলেন। দরবারে অবস্থানরত জনৈক ব্যক্তি তাদের এ কর্মকাণ্ড দেখে বললেন, তোমরা আল্লাহ তায়ালার সাথে চরম জুলুম করেছ যা ক্ষমার অযোগ্য।’

এই উদ্দীপকের ক প্রশ্ন ছিল- নিফাক কি? খ) খতমে নবুয়ত বলতে কী বোঝায়, ব্যাখ্যা কর? গ) উদ্দীপকের দম্পতির কাজগুলো কি বৈধ হয়েছে? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর? এবং ঘ) জনৈক ব্যক্তির অভিমত ব্যক্ত কর?

পরবর্তীতে এই প্রশ্নকে ঘিরে গতকাল (১৯ নভেম্বর) এই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন প্রণয়নকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।