বোয়ালখালীতে সিএনজি অটোরিকশা চালক হেলাল উদ্দিনকে হত্যার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো মো. ইলিয়াস (৩৫), মো. বখতিয়ার (২৭) ও মনির আহম্মদ মেহেরাজ (২৬)।
র্যাব জানায়, টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে গ্যারেজের মিস্ত্রি ইলিয়াস পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় হেলাল উদ্দিনকে বোয়ালখালী ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের এক দুর্গম এলাকায় নিয়ে যায়। পরে ইলিয়াস হেলালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। বখতিয়ার কাঠের লাঠি দিয়ে হেলাল উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে ও মেহেরাজ তার পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে ইলিয়াস হাতুড়ি দিয়ে হেলালের মাথায় উপুর্যপরি আঘাত করে এবং হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ইলিয়াসের দুই সহযোগী বখতিয়ার ও মেহেরাজ মিলে লাশ পাশের একটি ধানি জমির ওপর রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গত ৪ ডিসেম্বর হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে অধিনায়ক, র্যাব-৭ বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেন তিনি। এ প্রেক্ষিতে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের একটি দল চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে মোহাম্মদ বখতিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। অপর এক অভিযানে কোতোয়ালী থানার চাক্তাইয়ে একটি শুটকি আড়তের সামনে থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. ইলিয়াস এবং বোয়ালখালী পৌরসভার মিরাপাড়া হতে মনির আহম্মদ প্রকাশ মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার তিনজন চালক হেলাল উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার তিনজনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত হেলাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধূলা উপজেলার নিজহোগলা গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন বোয়ালখালীর জমাদারহাট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।