বৈদ্যুতিক মিটারে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক জোর করে কার্ড মিটার প্রদান ও মিটারের বিভিন্ন রকম অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা এগারটার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার মেডিকেল গেইট এলাকায় সর্বস্থরের জনসাধারণের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ভুক্তভোগীরা বলেন, গত দুই তিন বছর যাবৎ স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে আমাদের কাছ থেকে প্রতি মিটারে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে এবং আমরা এই প্রিপেইড মিটারে নানা সমস্যায় জর্জরিত ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। যেমন, অটোটেম্পারিং, ওভার কারেন্ট ও লো কারেন্টে মিটার অটো বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাসের ১৫ তারিখের পর প্রতি ইউনিটে ১২/১৩ টাকা কেটে নেওয়া, মিটারে পিপঁড়া ঢুকলে মিটার অটো টেম্পার হয়ে যাওয়া ছাড়াও কারণে অকারণে মিটার টেম্পার হলে টেম্পার টোকেনের জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া, কিলোয়ার্ড কম বা বেশি করার জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া ইত্যাদি।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সরকারী ফি এক থেকে দেড়শ টাকা দিয়ে কিলোয়ার্ড ও টেম্পার টোকেন ব্যাংকে জমা করা হয়। এই প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে আমরা সাধারণ গ্রাহকদেরকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানি করা হচ্ছে।

এছাড়াও তারা আরও বলেন, আমরা জেনেছি প্রিপেইড মিটারের সুফল সম্পর্কে বুঝানোর জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা আছে কিন্তু তা না করে গ্রাহককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। যা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত পরিপন্থী।

এ সময় বক্তারা হাটহাজারী বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এবং অবিলম্বে বিদ্যুতের নিম্নমাণের প্রিপেইড মিটার লাগানো বন্ধ করে সাধারণ গ্রাহককে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি থেকে মুক্ত রাখার আহবান জানান। পরে তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, কামাল পাড়া যুব সংঘের সভাপতি মো.ওসমান, মো. আসাদুজ্জামান রিপন, মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নাসির, সালাউদ্দিন প্রমুখ।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হাটহাজারী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমদ খান জানান, বুধবার সাত আটজন গ্রাহক এসে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমরা যাচাই বাচাই করছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।