বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করলেও বাংলাদেশের  অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের মহাসমাবেশে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।  বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চেয়েছিল দেশ শ্রীলংকা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে।  সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না।  কিন্তু আমাদের কাজ করতে হবে।

শুক্রবার ( ১১ নভেম্বর ) যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।     তিনি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন।

শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় সরকারের নানা উন্নয়ন উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরেন। এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় উন্নয়ন নয়, শুধু লুটপাট করেছে। যাদের নেতা খুন ও অর্থ পাচার মালার সাজাপ্রাপ্ত, তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।

মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে যুবলীগের কর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। করোনাকালে যুবলীগের কর্মীরা যেভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামীলীগ সভানেত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, ৯৬ সালে আমি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করলাম ঠিক তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল।  রিজার্ভ ছিল ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  সেখানে আমরা করোনাকালে ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত উঠিয়েছি।  করোনার কারণে দুইটা বছর আমাদের কোনো ক্যাপিটালমেশিনাইজ আসেনি। দুই বছর পর যখন সারা বিশ্ব উন্মুক্ত হয়েছে তখন ক্যাপিটালমেশিনাইজ আসছে।  আমাদের রিজার্ভতো ব্যবহার করতেই হবে।  তার মধ্যে ৮ বিলিয়ন আমরা আলাদা ভাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছি।  কারণ শুধু রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে তো হবে না।  সেটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে।  দেশের টাকা দেশেই থাকছে।

আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন  শেখ হাসিনা।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।  আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনীতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করা হয় দলীয় পতাকা।  এ ছাড়া বেলুন ও পায়রা ওড়ানো হয়।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগের মহাসমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।  নেতা-কর্মীরা নীল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরে মহাসমাবেশে এসেছেন।

মহাসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকেই যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারো নেতা-কর্মীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা যায়।  তাঁরা বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে  মহাসমাবেশস্থলের দিকে যান।  অনেকে আবার হেঁটে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান।  যুবলীগের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।