বদলে গেছেন সামান্থা, ভাইরাল ভিডিওতে হইচই

অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু তার অভিনয় জীবন শুরু করেন ২০১০ সালে। প্রথম থেকেই তার কর্মজীবনে তিনি শুধু চলচ্চিত্রে নয়, বিভিন্ন শো ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। তার চরিত্রের ব্যাপক প্রশংসা পাওয়ার পর তিনি দক্ষিণী ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ‘চিটাগং’, ‘এওয়ার্ডস’, ও ‘র্যাম্প শো’-এ তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় দক্ষতা তাকে এক বিশেষ জায়গায় নিয়ে গেছে। সামান্থা রুথ প্রভু বর্তমানে তার বিস্ফোরক অ্যাকশন ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’ নিয়ে খবরের শিরোনামে রয়েছেন।

২০২২ সালে মায়োসাইটিস নামে এক রোগে আক্রান্ত হন তিনি। রোগ ধরা পড়ার পর ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’র শুটিং করছিলেন অভিনেত্রী। একদিন সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও ছিল না বলে জানান সামান্থা রুথ প্রভু। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’র কলাকুশলীদের নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানান অভিনেত্রী।

পাশাপশি ভাইরাল এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামান্থার। সেই ভিডিও নিয়ে আলোচনায় শুরু হয়েছে। এই ভিডিওটি ১৪ বছর আগের পুরোনো এবং এতে সামান্থাকে চিনতে সত্যিই কঠিন হয়েছে। অভিনেত্রীর এই রূপান্তর দেখে ভক্তরা একেবারে হতবাক। অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে এটি সামান্থা রুথ প্রভু। ভিডিওটি একটি ট্যালকম পাউডারের বিজ্ঞাপন থেকে নেওয়া, যেখানে সামান্থা গোলাপি ও হলুদ স্যুট পরে ক্যামেরার সামনে হাসতে হাসতে নাচছেন।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক ভক্ত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। কিছু ভক্ত অবশ্য বলেছেন, সামান্থা সম্ভবত প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন এবং তার সৌন্দর্য অর্জনের পেছনে এই কারণ থাকতে পারে। আবার কিছু ভক্ত তাকে রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেহেতু বর্তমান রূপে সামান্থার কিছুটা রাশমিকার মতো দেখতে মনে হচ্ছে।

ভিডিওটি দেখে অনেক ব্যবহারকারী লিখেছেন— আমি দুজনের মধ্যে কোনো মিল দেখছি না, এটি পাগলামি। অন্য আরেকজন লিখেছেন— কোনোভাবেই এটি একই নয়। আরেকজন লিখেছেন— বোটক্স, ফিলার ও সার্জারি। এমনকি আরও কিছু মন্তব্য এসেছে তারা বলেছেন— ওর পুরো মুখ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে সামান্থার সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেছেন কিছু ভক্ত। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন— তিনি তখনো সুন্দর ছিলেন, এখনো সুন্দর।