প্রস্তুত চট্টগ্রাম, প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় চাটগাঁবাসী

দীর্ঘ দশ বছর পর রোববার (৪ ডিসেম্বর) জনসভায় যোগ দিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ জনসভার আয়োজক চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।  এই জনসভা একটি ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে আশা করছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।  ঘোড়ার গাড়িতে করে লিফলেট বিতরণ, নৌকার আদলে গাড়ি বানিয়ে প্রচারণা, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, বাইসাইকেল শোভাযাত্রা, প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে র‌্যালি।  চট্টগ্রামজুড়ে চলছে মাইকিং।  নগরীকে নান্দনিক রূপ দিতে কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।  প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে লিফলেট, ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারে চেয়ে গেছে পুরো নগরী।  জনসভাস্থলে আসতে প্রতিটি উপজেলায় বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বুকিং দেওয়া হয়েছে।

জনসভা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  তৈরি হয়েছে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে নৌকার আদলে ১৬০ ফুটের মঞ্চ।  সমাবেশস্থলের আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা থাকছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।  জনসভার জন্য লাগানো হয়েছে ৩০০ মাইক।  স্থাপন করা হয়েছে সাতটি বড় এলইডি মনিটর।  জনসভাস্থলকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

নান্দনিক সাজে সজ্জিত চট্টগ্রাম মহানগর

 

এ দিন সকালে ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।  সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে তিনি চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন।  স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।  এ জন্য জনসভার মঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রামবাসীর মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।  চট্টগ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আসবেন।  এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের।’

ব্যানারে-তোরণে ছেয়ে গেছে নগর

 

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, এবার জনসভায় লোক জমায়েতে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।  জনসভা স্বাচ্ছন্দ্যে দেখতে মাঠের বাইরেও এলইডি টিভি বসানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।  জনসভাস্থল ও আশপাশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সর্বশেষ জনসভায় এসেছিলেন।  সেদিন তিনি পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।  ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।