আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের বুকিং রেট বাড়লেই তার প্রভাব পড়ে দেশের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। চাহিদা ও জোগানের ওপর ভর করে প্রতি ঘণ্টায় দাম ওঠানামা করে এই বাজারে।
তবে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ভিন্ন চিত্র দেখা যায় এখানে।
খাতুনগঞ্জে এ সপ্তাহে চিনির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আর কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। একইভাবে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। প্রতি বস্তা ময়দার দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা ময়দার দাম ৩ টাকা বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, যা খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে ৭৫ টাকায়।
লাগামহীন বাড়ছে ডালের দামও। মোটা দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়ে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা এবং ছোট দানার মসুর ডাল ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। মটর ও ছোলার দামও বাড়তি।
চড়া ভোজ্য তেলের বাজারও। খোলা সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ১৮২ থেকে ১৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অস্থির মশলার বাজারও। ওঠানামা করছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। চায়না আদার দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়, রসুনের দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।
খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার থেকে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালের দাম ৯৬ টাকা থেকে বেড়ে সব খরচ মিলিয়ে হয়েছে ১০২ টাকা। তাহলে আমরা বিক্রি করব কত টাকায়! তারপরও আমরা বিক্রি করছি ১০৫ টাকায়।
এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটে আমদানি কম হওয়ায় অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া। তাছাড়া আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ পাচ্ছি না।
তারা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। সেই পেঁয়াজ বেড়ে এখন হয়েছে ৪৫ টাকা।
খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী জানান, স্বাভাবিক যে এলসি হতো সেটা এখন হচ্ছে না। কারণ ব্যাংক থেকেই নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে এলসি করার ক্ষেত্রে। ডলার সংকটের ফলেই ব্যাংকগুলো এমনটা করছে। যার ফলে বাড়ছে পণ্যের দাম।
নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে রাখতে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত বাজার তদারকির পরামর্শও দেন ব্যবসায়ীরা।