পূবাইলে রাস্তা নিয়ে মারামারি নেপথ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল 

গাজীপুর মহানগীর পূবাইল হায়দ্রাবাদ এলাকায় মায়ের দেওয়া জমিতে দুই বোনের মধ্যে রাস্তাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বড় বোনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয়দাকারী আমিনুল ইসলাম তার সহোদর খালা ও খালাতো ভাই বোনদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।আহত শাহিনুর আক্তার (৪২) এ বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও তার বোনের মেয়েসহ ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শাহিনুর জানান,২০১৫ সালে হায়দরাবাদ মৌজাস্হিত সি.এস ও এস.এ ৩৭২ আর.এস ৭৪৫ নং দাগে ১৭৩২৫ নং হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের মাধ্যমে ৯ শতাংশ জমি আমাকে ও বড় বোন আমেনা কে মা জাহানারা বেগম এককালীন হেবা করে দিয়ে যান।উল্লেখ থাকে যিনি পিছনের অংশে থাকবেন তাকে সামনের অংশ হতে পিছনে চলাচলের জন্য ৫ফিট রাস্তা দিতে হবে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় গত ১৮ ই এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হায়দ্রাবাদ মৌজাস্হ আমার মায়ের দেওয়া জমির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নিতে গেলে আমার বোনের ছেলে আমিনুল সিভিল পোশাকে এসে রাস্তার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং জোরপূর্বক আমার জমি দখলের চেষ্টা করে আমি ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করলে আমিনুল ইসলাম ধারালো চাপাটি দিয়ে শাহিনুরের মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরের দিন সকাল সাড়ে দশটায় ঐ জমিতে থাকা আমার ব্যবহৃত ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয় আমি ও আমার ছেলে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করি। এ বিষয়ে পূবাইল থানা পুলিশ অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় আমার ছেলে সাব্বির বিজ্ঞ আদালতে ৯৩/২০২৫ একটি সি আর মামলা দায়ের করে।বর্তমানে কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম প্রতিনিয়ত আমাকেও আমার দুই ছেলে মেয়ে এমনকি ভাড়াটিয়া কে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে।মারামারির বিষয়ে মুঠোফোনে আমিনুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এগুলো মিথ্যে এগুলো এডিট করা হয়েছে।