পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

পবিত্র মাহে রমাদানুল মোবারক মাসে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা:) মহা মহিমান্বিত রজনী বা লাইলাতুল কদর তালাশ করার জন্য সম্ভাব্য যে পাঁচটি বেজোড় রজনী বা রাতের কথা উল্লেখ করেছেন সাতাশের রাতটি তার মধ্যে অন্যতম।বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহা মহিমান্বিত একটি রাত।

‘লাইলাতুল কদর’ আরবি শব্দ। শবে-কদর হলো ‘লাইলাতুল কদর’-এর ফারসি পরিভাষা। ‘শব’ অর্থ রাত আর আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। আর কদর অর্থ সম্মানিত,মহিমান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।

মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত:

পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘শবে বরাত’ও শবে বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহদের মধ্যে কিছুটা সংশয় থাকলেও লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনোই অবকাশ নেই।পবিত্র কুরআন,নির্ভরযোগ্য সহিহ হাদিস ও নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা:-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব,মহাত্ব ও তাৎপর্য্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এই কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেকেও উত্তম ও কল্যাণময়’ (সূরা আল কদর : ১-৩)। এই রাত কোন মাসে ? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘রমজান এমন মাস যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)। এ রাত রমজানের কোন তারিখে? রাসূলুল্লাহ সা: একটি রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেননি। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে- হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, নবী করিম সা: বলেছেন,‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোন বেজোড় রাতে খোঁজ করো।’

হজরত আবু বকর রা: ও হজরত আবব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হাদিস থেকেও এই একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। তবে কোনো কোনো ইসলামী মনীষী নিজস্ব ইজতিহাদ, গবেষণা, গাণিতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যামে রমজানের ২৭ তারিখের রাতে (অর্থাৎ ২৬ রোজার দিবাগত রাতে) শবে কদর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জোর তাগিত দিয়ে বলেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা: এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি; বরং কষ্ট করে খুঁজে নিতে বলেছেন,বা তালাশ করতে বলেছেন।

মহান আল্লাহ মহিমান্বিত এই রাতকে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লুকিয়ে রেখেছেন। বান্দাহ বিনিদ্র্র রজনী কাটাবে,সবর করবে এর মাঝে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত, পাবে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত; ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাতে সিক্ত হবে তার হৃদয়, আর আপন রবের ভালোবাসায় সে হবে উদ্বেলিত। এ যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষার পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। এ দীর্ঘ প্রতিক্ষার কষ্ট-বিরহের মাধ্যমে রব তার বান্দাহকে আরো আপন করে নেন। কাজেই শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আরও বেশী ইবাদতে মশগুল হতে হবে। প্রতিটি রাতকেই লাইলাতুল কদর মনে করতে হবে। তা হলেই লাইলাতুল কদর আল্লাহর মেহেরবানিতে হাতছাড়া হবার কোন সুযোগ নাই ইনশাআল্লাহ। রমজানুল মোবারকের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখের রাতগুলোই ( অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ও ২৮ শে রোজার দিবাগত রাত ) হলো শেষ দশকের বেজোড় রাত বা রজনী।

এই রাতের আর একটি গুরুত্ব ও মহাত্ব হলো- এই পবিত্র রাতেই কুরআন নাজিল হয়েছে। আর এই কুরআনের সাথেই বিশ্ব মানব জাতীর ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এ জন্য কদরের আর একটি অর্থ হলো ভাগ্য। তা হলে লাইলাতুল কদরের অর্থ হয় ভাগ্যরজনী বা রাত।

মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরের ফজিলত:

এই রাত হাজার মাস থেকেও উত্তম ও কল্যাণময় (কুরআন)। এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল করা হয়েছে (কুরআন)। এ রাতে ফেরেশতা নাজিল হয় এবং আবেদ বান্দাহদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার (কুরআন)। এই রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয় (কুরাআন)। আর এই রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাহদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকেন (হাদিস)।

গুনাহ মাফ:

‘যে ব্যক্তি এই লাইলাতুল কদরের রাতে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে,তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)।একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়াএই রাতের কল্যাণ থেকে আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।

কিয়ামুল লাইল:

‘কিয়ামুল লাইল’ অর্থ হলো রাত্রি জাগরণ। মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে- ‘তারা রাত্রি যাপন করে রবের উদ্দেশে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে’ (সূরা ফুরকান : ৬৪)।

‘তাদের পার্শ দেশ বিছানা থেকে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করেন না ; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা গজবের ভয়ে এবং রহমতের আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে তারা দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমালের পুরস্কারস্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কী জিনিস গোপনে রাখা হয়েছে’ (সূরা সিজদা : ১৬-১৭)।

আল্লাহর প্রিয় বান্দাহরা সারা জীবনই এভাবে কাটান। আমাদের সে জীবনে প্রবেশ করতে হলে প্রয়োজন অধ্যবসায়। পবিত্র রমজান, বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।

মুসনাদে আহমেদ গ্রন্থে হজরত ওবায়দা ইবনে সামেত বর্ণিত হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে- ’নবী করিম সা: বলেছেন- ‘কদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতে রয়েছে। যে ব্যক্তি এর শুভফল লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের ও পেছনের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’

হযরত রাসুলে কারিম সা: রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফে থাকতেন এবং ইবাদতে গভীরভাবে মনোনিবেশ করতেন। কাজেই আমরা কোনো একটি বিশেষ রাতকে নির্দিষ্ট না করে হাদিস অনুসারে অন্তত রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য লাভের আশায় ইবাদতে মশগুল হবো। আমরা এতে কোন রকম অবহেলা করলে হাদিসের ভাষায় হতভাগ্য হিসেবে চিহ্নিত হবো। রাসূল সা: বলেন- ‘এ রাত থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হবে সে সমগ্র কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হবে।আর একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া এর কল্যাণ থেকে কেউ বঞ্চিত হয় না’ (মিশকাত)।

এ রাতে আমাদের করণীয়:

পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে এ রাতে। মানবজাতির এই বিরাট নিয়ামতের কারণেই এ রাতের এত বেশী মর্যাদা ও ফজিলত। এই কুরআনকে ধারণ করলেই মানুষ সম্মানিত হবে, একটি দেশ ও জাতি মর্যাদাবান হবে; বদলে যাবে গোটা জাতির ভাগ্য। কাজেই এ রাতে অর্থ বুঝে কুরআন পড়তে হবে। কুরআনের শিক্ষাকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করতে হবে। বাছাইকৃত কিছু আয়াত এই রাতে মুখস্থও করা যেতে পারে। যাদের কুরআনের ওপর প্রয়োজনীয় জ্ঞান রয়েছে তারা এই রাতে একটি দারসও প্রস্তুত করতে পারেন। কুরআনের এ গভীর অধ্যয়ন খুলে দেবে আমাদের সৌভগ্যের দ্বার।

হাদিস থেকে জানা যায়, রাতে এক ঘণ্টা গবেষণামূলক ইসলামী গ্রন্থ অধ্যয়ন সারা রাত জেগে ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। এর মর্তবা বা মর্মকথা হলো- সাধারণ রাতের জন্য আর এই পবিত্র রজনীতে কুরআন অধ্যয়নের ফজিলত ভাবাতো দুরের কথা কল্পনা করাও কঠিন।

নফল নামাজ:

ন্যূনতম ৮ রাকাত থেকে যত সম্ভব বেশী পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণ সুন্নতের নিয়মে ‘দুই রাকাত নফল পড়ছি’এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মেলালেই চলবে। প্রচলিত কিছু বইতে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। হজরত আশ্রাফ আলী থানবি র:, মাওলানা ইউসুফ ইসলাহী র: এবং এ পর্যায়ের বরেণ্য ফকিহরা এগুলো জরুরি মনে করেন না। এ ছাড়াও আপনি সালাতুল তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ নামাজও পড়তে পারেন।

জিকির আসকার ও দোয়া:

হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে। হজরত আয়েশা রা: বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, যদি কোনো প্রকারে আমি জানতে পারি রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে কী দোয়া করব? জবাবে নবী রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, এই দোয়া পড়বে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তুমি বড়ই মাফ করনেওয়ালা এবং বড়ই অনুগ্রহশীল। মাফ করে দেয়াই তুমি পছন্দ করো। অতএব, তুমি আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও।’ হজরত আয়েশা রা:-কে শেখানো দোয়া আমরা আবেগ ও বিনয়ের সাথে বারবার পড়ব।

আত্মসমালোচনা করা:

আত্মসমালোচনা অর্থ আত্মবিচার। অর্থাৎ, আপনি নিজেই নিজের পর্যালোচনা করুন।। জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোতে আল্লাহর কতগুলো হুকুম-আহকাম অমান্য করেছেন, আল্লাহর ফরজ ও ওয়াজিবগুলো কতটা পালন করেছেন বা করেন নাই এবং তা কতটা নিষ্ঠার সাথে করেছেন, ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় কী কী বড় গুনাহ করে ফেলেছেন আপনি, আল্লাহর গোলাম হিসেবে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আপনি কতটুকু ভূমিকা পালন করেছেন- এগুলো ভাবুন, যা কিছু ভালো করেছেন তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, আর যা হয়নি বা করতে পারেননি তার জন্য মনে পয়দা করুন আল্লাহর ভয় , সত্যিকারভাবে তওবা করুন।এ রাতে নীরবে-নিভৃতে কিছুটা সময় এ আত্মসমালোচনা করুন দেখবেন নিশ্চয় আপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আত্মসমালোচনা জাগিয়ে তুলবে আমাদের বিবেককে । আত্মসমালোচনা আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন- ‘হে ঈমানদার লোকেরা, আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত আগামী কালের জন্য (পরকাল) সে কী প্রেরণ করেছে, তা চিন্তা করা’(সূরা হাশর :১৮)।

মুনাজাত:

মুনাজাতের মাধ্যমে বান্দাহর বন্দেগি ও আল্লাহর রবুবিয়াতের প্রকাশ ঘটে। বান্দাহ তার প্রভুর কাছে চায়। প্রভু এতে ভীষণ খুশি হন। মহন আল্লাহ তার বান্দাহর প্রতি এতটাই অনুগ্রহশীল হন যে, তিনি তার কাছে না চাইলে অসস্তুষ্ট হন। ‘যে আল্লাহর কাছে কিছু চায় না আল্লাহ তার ওপর রাগ করেন’ (তিরমিজি)। ‘দোয়া ইবাদতের মূল’ (আল হাদিস)।‘যার জন্য দোয়ার দরজা খোলা থাকে তার জন্য রহমতের দরজাও খোলা রয়েছে’ (তিরমিজি)।

কাজেই আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করব, ক্ষমা চাইব, রহমত চাইব, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইব। মনের আবেগ অনুভূতি নিয়ে চাইব। চোখের পানি ফেলে চাইব। আল্লাহ আমাদের হাত, খালি হাতে ফেরাবেন না ইনশাআল্লাহ। হজরত রাসূল সা:-এর বাণী আশার আলো জ্বেলে দেয় হৃদয়ে। রাসূল সা: বলেছেন- ‘তোমাদের পরওয়ারদিগার লজ্জাশীল ও দাতা; লজ্জাবোধ করেন যখন তাঁর বান্দাহ তার কাছে দুই হাত ওঠায়, তখন তা খালি ফিরিয়ে দিতে’(তিরমিজি, আবু দাউদ, বায়হাকি-দাওয়াতে কবির)।

আমরা উপরিউক্ত আমলের মাধ্যমে এ পবিত্র রাতগুলো কাটাতে পারি। লাইলাতুল কদর পাওয়ার তামান্না নিয়ে নিষ্ঠার সাথে অনুসন্ধান করলে আল্লাহ আমাদের অবশ্যয় বঞ্চিত করবেন না ইনশাআল্লাহ। অবশ্য নফল ইবাদত নীরবে-নিভৃতে ঘরে আদায় করাই মাসনুন। এতে আমাদের ইবাদত রিয়া (প্রদর্শন ইচ্ছা) দোষে দুষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ পবিত্র রাতে কিছু অনাকাঙ্খিত কাজ হতে দেখা যায়।এগুলো বন্ধ করার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়া দরকার।মহান রব্বুল আলামিন আমাদের সবায়কে সেই তৌফিক দান করুন আমিন।