দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য দিয়েছে।

মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ।  স্থানীয়রা জানায়, ক’দিন ধরে ঘন কুয়াশায় সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।  সন্ধ্যার পর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে।  মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।

হাড়কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।  ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই।  তবে পেটের তাগিদে অনেককেই বের হতে হচ্ছে ঘর থেকে।

এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।  জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।  এরমধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে।  এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।  শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে।  আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।  তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা সারাদেশের সর্বনিম্ন।  ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।  এ তাপমাত্রায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।  গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারি) রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে ৩ নটিক্যাল গতিতে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে।