আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ফুটবলাররা বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগ খেলছেন কয়েক বছর ধরে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা কখনো প্রস্তাব পাননি। এবার আর্জেন্টিনার ঘরোয়া লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ফুটবলার তপু বর্মণ ও মাহদুদুল হাসান কিরণ।
আর্জেন্টিনা ক্লাবের প্রস্তাব সম্পর্কে জাতীয় দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংসের প্রাণভোমরা তপু বর্মণ বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ দিকে মূলত আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাবটি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করায় অত্যন্ত খুশি হই।’
প্রস্তাব পাওয়ার কারণ সম্পর্কে তপুর ধারণা, ‘গত কয়েক বছর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার অনেকেই আমাদের কিংসে খেলেছে। এজন্য কিংসের ম্যাচ এবং আমাদের লিগ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় অনুসরণ করা হয়। সেখান থেকেই মূলত তাদের এই প্রস্তাব দেওয়ার ধারণা।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। সেখানে বাংলাদেশের শীর্ষ ফুটবলার আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগ লিগ খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন। লিগের স্তরের তারতম্য থাকলেও মানগত দিকে কোনো পার্থক্য নেই বলে মনে করেন তপু, ‘আমাদের এখানে যেসব ব্রাজিলিয়ান ও আর্জেন্টাইন আসেন তারা মূলত তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ স্তরেই। কিংসে হার্নান বার্কোস অবশ্য ছিলেন উঁচু স্তরের। তাদের তৃতীয় বিভাগ লিগ আমাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
পেশাদার ফুটবলার হিসেবে পারিশ্রমিক একটি বড় বিষয়। সেই পারিশ্রমিকও বাংলাদেশের চেয়ে বেশ, ‘বর্তমানের চেয়ে অবশ্যই কয়েকগুণ বেশি। প্রতি মাসে ১২-১৩ হাজার ডলার পাওয়া যেতে পারে।’
বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তপু বর্মণ। এবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে খেলার জন্য তপু তাদের বড় অস্ত্র। তাই এত বড় অফার পেয়েও তার যাওয়া অনিশ্চিত, ‘আমি কিংসের খেলোয়াড়। আমার দুঃসময়ে তারা পাশে ছিল। সকল প্রকার সহযোগিতা করেছে। কিংসের অনুমতি পেলেই আমি যাব, অন্যথায় নয়।’
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে দুই এক দিনের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন তপু। আর্জেন্টিনার ক্লাবকে এক সপ্তাহের মধ্যেই তার অবস্থান জানিয়ে দেবেন।
তপুর কিংসের আরেক সতীর্থ মাহদুদুল হাসান কিরণও একই ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন। এই মৌসুমে কিংসের একাদশে সেভাবে সুযোগ পাননি কিরণ। গত মৌসুমে রহমতগঞ্জে অধিনায়কত্ব করা এই ফুলব্যাক তাই খানিকটা চমকেই গিয়েছেন, ‘এই মৌসুমে আমি সেভাবে খেলিনি। তারা হয়তো আমার গত বছরের পারফরম্যান্সই দেখেছে।’