দরপত্র ছাড়াই বহির্ণোঙরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য অপারেটর নিয়োগ দিতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। কিন্তু এস টি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আদালত দরপত্র ব্যতীত শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্তির বিষয়ে বন্দর প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বদলি হওয়া চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ছেন। যাওয়ার আগে বন্দরের বহির্ণোঙরে শিপ থেকে পণ্য হান্ডলিংয়ের জন্য নতুন অপারেটর নিয়োগ করে যেতে চান। তাও আবার কোনো ধরণের দরপত্র ছাড়াই। বন্দর চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগ নিয়ে আগে-ভাগেই প্রশ্ন তুলেছিল বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন।
বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় এস. টি. এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক কামাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট করেন। রীট নং ৫০৭১/২০২৩। বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামান এবং বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীন এর সমন্বয়ে দ্বৈত বেঞ্চ শুনানিশেষে বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবরে নির্দেশনা দেন আদালত।