গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামের পিন্টু চৌধুরী বাবা মিন্টু চৌধুরী তার পুত্রবধূ লাকি পান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি জানান, গত এপ্রিল মাসের বৃহস্পতিবার ভোরে পারিবারিক কলহের জেরে লাকি পান্ডে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটে আনুমানিক সকাল ৭ টার দিকে। তখন পিন্টু চৌধুরী এবং তার পরিবার সদস্যরা তৎক্ষণাৎ লাকি পান্ডেকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, এরপর দুইদিন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে লাকি পান্ডে সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল, এমনটাই জানান শ্বশুর মিন্টু চৌধুরী।
এদিকে, লাকি পান্ডের বাবার বাড়ি টুঙ্গীপাড়া থেকে একটা নিউজ পোর্টালে সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয় যে, যৌতুকের কারণে পারিবারিক অশান্তি ও কলহ হয়েছে এবং সংবাদটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের পর, পিন্টু চৌধুরী পক্ষে তার বাবা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, সংবাদটি ভিত্তিহীন এবং তার পরিবারের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এ সময় তিনি টুঙ্গীপাড়া প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে লাকি পান্ডের শশুর মিন্টু চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন এবং তার পরিবারের শিরোনামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জানান।পিন্টু চৌধুরী বাবা তার বক্তব্যে আরও বলেন, “আমাদের পরিবারে কোন ধরনের যৌতুকের দাবি করা হয়নি এবং পারিবারিক সমস্যা পুরোটাই ব্যক্তিগত বিষয়। মিন্টু চৌধুরী বিজেপিতে চাকরি করে তার শ্বশুরবাড়ির প্রতি যৌতুকের কোন লোভ তার মধ্যে নেই এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন কলহ মাঝেমধ্যে সংসারের কাজকর্ম নিয়ে শশুর শাশুড়ির সঙ্গে সামান্য ফল ও সৃষ্টি হয়। একটি নিউজ পোর্টালের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।” তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে আরও বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।