ইসরাইলে সামরিক অভিযানের হুমকি এরদোয়ানের

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে প্রয়োজনে ইসরাইলে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন। নিজ শহর রিজে ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক বৈঠকে রোববার এরদোয়ান তার বক্তব্যে গাজায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধে এ সামরিক অভিযানের পরোক্ষ হুমকি দেন। এর আগে, এরদোয়ানকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তুলনা করে ইসরাইল। এর জবাবে তুরস্ক দেশটিতে হামলার পাল্টা হুমকি দিলো। এর আগে, এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে। খবর টাইমস অব ইসরাইল’র। রিজে একে পার্টির বৈঠকে রোববার এরদোয়ান তার বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরাইল যেন এসব অযৌক্তিক কাণ্ড না করতে পারে সেজন্য আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। যেভাবে আমরা (নাগর্নো) কারবাখে প্রবেশ করেছি, যেভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি, একই কাজ আমরা তাদের সঙ্গেও করতে পারি। আমরা পারি না এমন কিছুই নেই। আমাদের শুধু বলিষ্ঠ থাকতে হবে। কেন আমরা এমনটি করতে পারবো না, তার কোনো কারণ নেই। আমরা যেন এসব পদক্ষেপ নিতে পারি, এজন্য আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। ২০২০ সালে এরদোয়ানের নির্দেশে আরমেনিয়ার সঙ্গে ভূখণ্ড নিয়ে বিবাদে আজারবাইজানকে সামরিক সহায়তা দেয় তুরস্ক। নাগর্নো-কারবাখ অঞ্চলকে ঘিরে ৪৪ দিনের এ সংঘাতে তুরস্কের সেনাবাহিনী সরাসরি অংশ না নিলেও আজারবাইজানের বাহিনীকে সহায়তা দিয়েছে। একই বছর তুরস্ক লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সমর্থনে ত্রিপোলিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিল। ইসরাইলের কাছে গোলান মালভূমি কেন গুরুত্বপূর্ণ?ইসরাইলের কাছে গোলান মালভূমি কেন গুরুত্বপূর্ণ? এদিকে, এরদোয়ানের এ বক্তব্যের পর ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাটজ বলেন, এরদোয়ান সাদ্দাম হোসেনের পথে হাঁটছেন। সেখানে কি হয়েছিল এবং কীভাবে ঘটনার অবসান হয়েছিল, সেটা তার মনে রাখা উচিত। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, যেভাবে গণহত্যাকারী হিটলারের সময় ঘনিয়ে এসেছিল, ঠিক একইভাবে গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর সময়ও ঘনিয়ে আসছে।